বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ০৯:০৮ অপরাহ্ন

অন্তর্বাস পরিধানে যা খেয়াল রাখা উচিত

বিডিনিউজ: একই অন্তর্বাস কয়েকদিন ব্যবহার করা, আকারে ছোট অন্তর্বাস পরা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।

পোশাকের ভেতর পরা ছোট কাপড়টা সুরক্ষার জন্যই ব্যবহার করা হয়। তবে সঠিক মাপ ও কাপড়ের না হলে অন্তর্বাস বরং ক্ষতিও করতে পারে।

স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনে, ২০১৯ সালে অন্তর্বাস প্রস্তুতকারী এক প্রতিষ্ঠানের করা জরিপের ভিত্তিতে জানায়, ৪৫ শতাংশ মানুষ একই অন্তর্বাস একটানা দুই দিন বা তারও বেশি দিন পরিধান করে। পুরুষরা নাকি এদিক দিয়ে আরও এগিয়ে, এক অন্তর্বাস দিয়ে পার করে দেয় পুরো সপ্তাহ।

অনেকের কাছেই বিষয়টিকে তুচ্ছ মনে হতে পারে, তবে বাস্তবে তা নয়।

সুতি কাপড়: নারী-পুরুষের লজ্জাস্থানটুকু পরিষ্কার ও শুষ্ক রাখার জন্য দৈনন্দিন ব্যবহার্য অন্তর্বাসের কাপড়টা সুতি হওয়া গুরুত্বপূর্ণ। যদিও বাজারে বিভিন্ন কাপড়ের অন্তর্বাস মেলে। তবে তা ব্যবহারের আগে অন্তত লজ্জাস্থানের অংশের কাপড়টুকু সুতি কি-না তা দেখা নেওয়া উচিত।

বিশেষজ্ঞদের মতে, যেকোনো ‘পলেস্টার’ ও ‘সিনথেটিক’ ধরনের অন্তর্বাস ‘ইস্ট ইনফেকশন’য়ের ঝুঁকি বাড়ায় উল্লেখযোগ্য মাত্রায়। এই ধরনের কাপড়গুলোর তরল শোষণ করার ক্ষমতা কম হওয়ার কারণে গোপনাঙ্গের আশপাশে ব্যাক্টেরিয়া ও ছত্রাক সংক্রমণের জন্য আদর্শ পরিবেশের সৃষ্টি হয়। তাই সবারই, বিশেষত নারীদের উচিত সুতি কাপড়ের অন্তর্বাস ব্যবহার করা।

ছোট আকারে অন্তর্বাস ব্যবহার: যে মাপের অন্তর্বাস আপনার প্রয়োজন তার থেকে ছোট অন্তর্বাস ব্যবহার করলে গোপনাঙ্গ ও তার চারপাশে ঘাম বেশি হয়। এতে পরিধানকারীর অস্বস্তি তো বাড়েই, পাশাপাশি নারীদের ‘ভ্যাজাইনাল ইনফেকশন’ হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। আবার আঁটসাঁট অন্তর্বাসের কারণে সৃষ্টি হতে পারে যন্ত্রনাদায়ক এক রোগ, ‘ভালভোডিনিয়া’। সঠিক মাপের অন্তর্বাস ব্যবহার করতে হবে। মানে বেশি  আঁটাসাঁটও না আবার বেশি ঢিলেঢালাও না।

অন্তর্বাস পরিষ্কারে সুগন্ধি ডিটারজেন্ট: গোপনাঙ্গ ও তার আশপাশের ত্বক অন্যান্য অংশের ত্বকের তুলনায় অনেক বেশি সংবেদনশীল, স্পর্শকাতর। একারণে কাপড় পরিষ্কার করতে ব্যবহৃত ডিটারজেন্ট’য়ে সুগন্ধি তৈরি করা রাসায়নিক উপাদান খুব সহজেই সেখানে অস্বস্তি ও জ্বালাপোড়ার সৃষ্টি করতে পারে। যাদের ত্বক বেশি সংবেদনশীল তাদের ক্ষেত্রে এই সমস্যাগুলো দেখা দেয়। তবে সবার ক্ষেত্রেই সাধারণ সমস্যা হলো অস্বস্তি ও চুলকানি। তাই অন্তর্বাস পরিষ্কারের ক্ষেত্রে সুগন্ধিযুক্ত ডিটারজেন্ট এড়িয়ে চলাই শ্রেয়। 

থংস: নারীদের বিশেষ ধরনের এই অন্তর্বাস নানান ক্ষেত্রে বিব্রতকর পরিস্থিতে পড়া থেকে বাঁচায়। তবে সেই সঙ্গে বিভিন্ন জীবাণুর সংক্রমণের পথকেও সহজ করে দেয়। অনেক ‘থংস’য়ে থাকে ‘লেইস’, কাপড়টা হয় ‘সিল্ক’ কিংবা ‘পলেস্টার’, যা অন্তর্বাসটিকে যথেষ্ট অস্বস্তিদায়ক করে তোলে। তাই বিশেষ এই অন্তর্বাস বিশেষ মুহৃর্তের জন্য তুলে রাখাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে। প্রতিদিনের ব্যবহারের জন্য বেছে নিতে হবে সুতির অন্তর্বাস।

অন্তর্বাসের দাগ: গোপনাঙ্গ থেকে নিঃসৃত তরল থেকে অন্তর্বাসে কোনো দাগ হচ্ছে কি-না বা কাপড়ের রং নষ্ট হচ্ছে কি-না সেদিকে খেয়াল রাখা উচিত নিয়মিত। স্বচ্ছ ও সাদা রংয়ের যেকোনো কিছুই সাধারণ। তবে সবুজ বা ধূসর রংয়ের দাগ দেখা দিলে তা হতে পারে ‘ব্যাক্টেরিয়াল ভ্যাজাইনোসিস’য়ের পূর্বাভাস। এই সংক্রমণের কারণ হয় সাধারণত নারী জননাঙ্গে অতিমাত্রায় ব্যাক্টেরিয়ার উপস্থিতি। সেক্ষেত্রে জননাঙ্গ নিঃসৃত তরল কেমন সেদিকে খেয়াল রাখুন এবং চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

গোপনাঙ্গের সাধারণ গন্ধের থেকে কড়া বা অপরিচিত দুর্গন্ধ হলেও চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

.coxsbazartimes.com

Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themesbcox1716222888